নতুন বছরের প্রথম দিনেই ১৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল বাহিনী। ফিলিস্তিনি সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বুধবার (১ জানুয়ারি) মধ্য ও উত্তর গাজার আল-বুরেজ শরণার্থী শিবির এবং জাবালিয়া শহরে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
তবে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যদিও এ ঘটনার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে বাহিনীর আরবি মুখপাত্র আল-বুরেজের বাসিন্দাদেরকে ওই এলাকা থেকে রকেট ছোড়া যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আসন্ন হামলার আগেই সরে যেতে সতর্ক করেন।
একইসঙ্গে বলা হয়, আবদ আল-হাদি সাবাহ নামে এক হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। সাবাহ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণের সময় কিবুতজ নির ওজে অনুপ্রবেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি দখলদার বাহিনীর।
আল-বুরেইজ শিবির থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতির এক নতুন তরঙ্গ সৃষ্টি করেছে। যদিও কতজন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইসরায়েল বলেছে, উত্তর গাজায় তাদের প্রায় তিন মাস পুরোনো অভিযানের লক্ষ্য ছিল, হামাস যোদ্ধাদের পুনরায় সংগঠিত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করা।
এদিকে ফিলিস্তিনি ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। এ ধরনের উচ্ছেদ মানুষের মানবিক অবস্থার অবনতি করছে। ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রতিরক্ষা অনুসারে, গাজাজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয় দেয়া দেড় হাজারেরও বেশি তাঁবু গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা এখন তীব্র ঠান্ডা মধ্যে রয়েছে এবং তাদের জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া আরও শতাধিক তাঁবু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা এখনও বাস্তুচ্যুত মানুষ ব্যবহার করতে পারছেন না।
ওয়াফা বলেছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বেইট লাহিয়া, জাবালিয়া এবং এর আশেপাশে আবাসিক ব্লকগুলো উড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া ট্যাঙ্কগুলো গাজার আল-বুরেজ ক্যাম্পের কিছু অংশে গোলাবর্ষণ করেছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে সারে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া উপত্যকার ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্র : আল আরাবিয়া
খুলনা গেজেট/এএজে